featured.jpg

প্রিয় সাকুরা

বুধবার, জানু 1, 2025

প্রিয় সাকুরা,

তোমার দিনরাত্রি শেষ হয়েছে সেই বসন্তেই। এখন ডিসেম্বর। শীত এসে কড়া নাড়ছে বেশ কদিন থেকেই। এইতো সেদিন খানিকটা তুষারও পড়ল। আমি তখন অফিসের ব্যস্ততায়। তবুও খানিকটা উঁকি মেরে দেখতে পেয়েছিলাম। তুষার আমার বরাবরই ভালো লাগে তুমি জানো। কিন্তু তুমি যেটা জানো না তা হলো আজকাল তুষার দেখলেই আমার হাত পা অসাড় হয়ে আসতে শুরু করে। মনে হয় আমি দাঁড়িয়ে আছি কোন এক নাম না জানা স্টেশনে। তুষার ঝরে যাচ্ছে নিঃশব্দে। হঠাৎ কুয়াশার মধ্য থেকে বেড়িয়ে এলে তুমি। পরক্ষনেই মিলিয়ে গেলে ট্রামে চড়ে। আমার ট্রামে ওঠার কোন শক্তি আর অবশিষ্ট নেই। সবকিছু কেন যেন অসাড় হয়ে আসে। আমার দুঃখ লাগতে থাকে।

@
4 মিনিট
featured.jpg

ত্রিশের অভ্যুদয়

বুধবার, জানু 1, 2025

“একদিন পাহাড় দেখিব বলিয়া বাহির হইলাম। ন’মাইল ঘোড়ায় গিয়া দুই দিকের দুই শৈলশ্রেণীর মাঝের পথ ধরিয়া চলি।” চলতে চলতে কোথায় এসে থেমেছি জানি না। পেছনে তাকিয়ে দেখি ক্যালেন্ডারের পাতায় আজ পহেলা জানুয়ারি ২০২৫। ত্রিশে পা দেয়ার বছর। ক’বছর আগেও ভাবতাম ত্রিশে পা দেয়ার আগে কি কি করব। নিজের একটা ছোটখাটো প্রজেক্ট ছিল “থার্টি বিফোর থার্টি” নামে। সবে একুশে পা দিয়েছি তখন। একসাথে অনেক কিছু করে ফেলার তাড়না প্রতিনিয়ত তোলপাড় করে চলেছে মাথার মধ্যে। পড়াশুনা, নটা-পাঁচটা অফিস, বিয়ে, সংসার এসবের জন্য যেন আমার জন্মই হয়নি। অসাধারাণ কিছু একটা করে ফেলার প্রবল ইচ্ছা ক্রমশ আচ্ছন্ন করে ফেলছে সবকিছু।

@
2 মিনিট

© 2025 আরণ্যক